কলকাতা টাইমস নিউজ : নিজস্ব সংবাদদাতা : কলকাতা ,২৪ অগস্ট:
শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায় ফের সিবিআইয়ের নজরে। শনিবার বিকেলের দিকে তাঁর সিঁথির বাড়িতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার একটি বিশেষ দল হানা দেয়। সূত্রের খবর, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্তের অংশ হিসেবেই এই তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে কোন নির্দিষ্ট মামলার কারণে ফের তাঁর বাড়িতে অভিযান চালানো হচ্ছে, তা নিয়ে এখনও সরকারিভাবে মুখ খোলেনি সিবিআই।
এর আগে একাধিকবার আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সুদীপ্ত রায়ের নাম উঠে আসে। এমনকি, হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের মামলার তদন্তেও তাঁর নাম জড়ায়। সেই সূত্রেই অতীতে সিবিআই সুদীপ্তর সিঁথির বাড়ি ও তার সংলগ্ন নার্সিংহোমে তল্লাশি চালায়। শুধু সিবিআই নয়, আর্থিক অনিয়মের তদন্তে ইডিও তাঁর বাড়িতে গিয়েছিল। তখন তিনটি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্তও করা হয়েছিল।
চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে যখন আরজি করের নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, ঠিক তখনই প্রকাশ্যে আসে হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। জানা যায়, প্রায় তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনার নামে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় জালিয়াতি চলেছে। সেই মামলায় প্রথমে গ্রেফতার হন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। পরে একে একে সিবিআইয়ের হাতে ধরা পড়েন বিপ্লব সিংহ, আফসার আলি, সুমন হাজরা ও আশিস পাণ্ডে।
গত ১৪ জুলাই এই মামলার চার্জগঠন সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে বিচারপ্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে এই মামলায় সুদীপ্ত রায়ের ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই ফের তাঁর বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে সিবিআই।
বিধায়ক সুদীপ্ত রায়ের বিরুদ্ধে বারবার তদন্ত শুরু হওয়ায় রাজনৈতিক মহলেও জোর চর্চা চলছে। শাসকদলের তরফে অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে তৃণমূলের জনপ্রিয় নেতাদের টার্গেট করছে। তবে বিরোধীদের দাবি, দুর্নীতি ঢাকতেই শাসকদল ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’ তত্ত্ব খাড়া করছে।
শনিবারের তল্লাশি অভিযানকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সিবিআইয়ের তদন্তকারী দল ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাড়ির ভিতরে তল্লাশি চালাচ্ছে। সঙ্গে আরজি কর দুর্নীতি মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারও রয়েছেন। তদন্তকারীদের হাতে কোন নতুন তথ্য বা নথি এসেছে কি না, তা এখনও জানা যায়নি। তবে রাজনৈতিক মহল মনে করছে, শিগগিরই এই মামলায় আরও বিস্ফোরক তথ্য সামনে আসতে পারে।




