কলকাতা টাইমস নিউজ :নিজস্ব সংবাদদাতা:কলকাতা :২৩ অক্টোবর
দীপাবলি ও ভাইফোঁটার উৎসবে সুখবর রেলযাত্রীদের জন্য। ফের একবার বিশেষ ট্রেনের ঘোষণা করল দক্ষিণ পূর্ব রেল। ভাইফোঁটার দিনে বাংলার খড়্গপুর থেকে সরাসরি বেঙ্গালুরু যাওয়ার জন্য চালু হচ্ছে একটি স্পেশাল ট্রেন । উৎসবের সময়ে যাত্রীদের ভিড় সামাল দিতে ও দক্ষিণমুখী ট্র্যাফিক সহজ করতে এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
দক্ষিণ পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২২ অক্টোবর এই বিশেষ ট্রেনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়সূচি অনুযায়ী, খড়্গপুর-কেএসআর বেঙ্গালুরু স্পেশাল ট্রেন (০৬২৬৪) ২৩ অক্টোবর বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে খড়্গপুর থেকে ছাড়বে। প্রায় দুই দিন যাত্রার পর ২৫ অক্টোবর রাত ১১টা ৩০ মিনিটে বেঙ্গালুরু পৌঁছবে এই ট্রেনটি।
এই ট্রেনটি মোট ২০টি স্টেশনে থামবে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্টেশনগুলি হল —
বালেশ্বর, ভদ্রক, ভুবনেশ্বর, খুরদা রোড, ব্রহ্মপুর, পালাসা, শ্রীকাকুলাম রোড, বিজয়ওয়াড়া ও নেল্লোর।
এই দীর্ঘ রুটের মাধ্যমে ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানার বিভিন্ন শহর হয়ে পৌঁছবে কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে।
রেলের তরফে জানানো হয়েছে, দীপাবলি ও ভাইফোঁটার উৎসব উপলক্ষে যাত্রী চাহিদা বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে একাধিক স্পেশাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগেই দক্ষিণ পূর্ব রেল কয়েকটি বিশেষ ট্রেনের ঘোষণা করেছিল —
🔸 শালিমার–বিশাখাপত্তনম স্পেশাল ট্রেন, যা ২২ অক্টোবর ছেড়েছে।
🔸 ০৬০৯৫ এমজিআর চেন্নাই সেন্ট্রাল–সাঁতরাগাছি স্পেশাল, যা ১৭ অক্টোবর সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে চেন্নাই সেন্ট্রাল থেকে রওনা হয়ে পরদিন সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে সাঁতরাগাছি পৌঁছেছে।
🔸 এর পরদিন অর্থাৎ ১৮ অক্টোবর বিকেল ৫টা ৫৫ মিনিটে ০৬০৯৬ সাঁতরাগাছি–চেন্নাই সেন্ট্রাল স্পেশাল ছেড়েছে সাঁতরাগাছি থেকে।
রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, দীপাবলি ও ভাইফোঁটার সময় দক্ষিণমুখী এবং পূর্বমুখী রুটে যাত্রী সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। তাই অতিরিক্ত চাপ সামলাতে স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাত্রীদের সুবিধার জন্য রেল জানিয়েছে, টিকিট বুকিং অনলাইনে এবং স্টেশন কাউন্টার— দুই মাধ্যমেই করা যাবে।
দক্ষিণ পূর্ব রেলের এক আধিকারিক বলেন,
“উৎসবের সময় ঘরে ফেরা ও বেড়ানোর চাহিদা একসঙ্গে বেড়ে যায়। যাত্রীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তাই এই বিশেষ ট্রেনগুলির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
অতএব, ভাইফোঁটা ও দীপাবলির প্রাক্কালে পরিবারের সঙ্গে মিলিত হতে চাওয়া হাজারো বাঙালির জন্য এই ট্রেন নিঃসন্দেহে এক বড় স্বস্তির খবর। রেলের এই উদ্যোগে উৎসবযাত্রা আরও নির্বিঘ্ন ও আনন্দময় হবে বলেই আশা।




