কলকাতা টাইমস নিউজ ডেস্ক :
বিস্তারিত দেখুন :
মঙ্গলবার সকালে ট্যাংরার অটল সুর রোডে ঘটে গেল এক চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড। বাড়ির ভেতর একসঙ্গে তিনজন মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
সকাল ৯টার দিকে গারফা থানার পক্ষ থেকে ট্যাংরা থানাকে এই ঘটনার বিষয়ে জানানো হয়। সূত্রের খবর, ২১/সি অটল সুর রোডের বাসিন্দা প্রণয় দে নিজের বাড়িতে ঢুকে দেখেন যে তাঁর স্ত্রী ও পরিবারের আরও দুই মহিলা সদস্য রক্তাক্ত অবস্থায় নিথর পড়ে রয়েছেন। এই দৃশ্য দেখে হতভম্ব হয়ে যান তিনি এবং সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেন।
খবর পেয়ে ট্যাংরা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করে এবং ফরেনসিক দলের সাহায্যে প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট। ঘটনাস্থল থেকে কিছু আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে, যা তদন্তে সাহায্য করতে পারে।
প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, এটি কোনও পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হতে পারে। পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, পাশাপাশি প্রতিবেশীদের থেকেও তথ্য সংগ্রহ করছে পুলিশ। খুনের মোটিভ সম্পর্কে এখনও কিছু নিশ্চিত হওয়া যায়নি, তবে পারিবারিক বিবাদ নাকি অন্য কোনও কারণ এর পিছনে আছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, একসঙ্গে তিনজন মহিলার মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘটনার জন্য দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। পুলিশ আশ্বস্ত করেছে যে তদন্ত দ্রুতগতিতে চলছে এবং দোষীদের খুব শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে।
তদন্তকারী অফিসারদের মতে, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং ফরেনসিক রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর তদন্তের গতি আরও বাড়বে। তিনটি নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পেছনে কার হাত রয়েছে, তা উদঘাটন করাই এখন পুলিশের প্রধান লক্ষ্য।
(এই ঘটনার উপর আরও আপডেটের জন্য আমাদের সঙ্গে থাকুন।)
#ট্যাংরা রহস্যমৃত্যু আপডেট :
আত্মহত্যা নয়, ট্যাংরায় ৩ জনকেই খুন করা হয়েছে। ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ২ গৃহবধূকে হাতের শিরা ও নলি কেটে খুন করা হয়, যার জেরে কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই মৃত্যু হয় রোমি দে ও সুদেষ্ণা দে-র। অপর দিকে, বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে নাবালিকা কিশোরীর। তাঁর খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেখান থেকেই বিষক্রিয়ার জেরে মৃত্যু হয় ১৪ বছরের কন্যা প্রিয়ম্বদার।