কলকাতা টাইমস নিউজ ডেস্ক :
ভাঙচুর, পুলিশের ওপর হামলা, আহত ডিসি সহ চার পুলিশকর্মী !
অবৈধ সম্পর্কের জেরে এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল পাণ্ডবেশ্বর থানার কুমারডিহি গ্রামে। ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে, যেখানে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি অভিষেক গুপ্তা সহ চার পুলিশ কর্মী আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং একাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
বৃহস্পতিবার ভোরবেলায় কুমারডিহি গ্রামের রুইদাস পাড়ার একটি বাড়ি থেকে প্রতিবেশী বাউরী পাড়ার যুবক পল্লব বাউরী (২২)-এর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেলে গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৃত পল্লবের রুইদাস পাড়ার এক বিবাহিত মহিলার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক ছিল। ঘটনার দিন রাতের অন্ধকারে সে চুপিসারে ওই মহিলার বাড়িতে যায়। কিন্তু মহিলার স্বামী বিষয়টি দেখে ফেললে পল্লবকে ঘরের মধ্যে আটকে রাখা হয়। কিছুক্ষণ পর ওই ঘর থেকেই তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। যুবকের রহস্যজনক মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তেজিত জনতা মহিলার শ্বশুরবাড়ি সহ এলাকার একাধিক বাড়ি ও দোকানে ভাঙচুর চালায়। সাইকেল ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে।
অন্যদিকে অশান্তি সামলাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে উত্তেজিত জনতা তাদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে শুরু করে। এতে ডিসি অভিষেক গুপ্তা সহ চার পুলিশ কর্মী আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং একাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়।অপরদিকে অভিযুক্ত মহিলা ও তার স্বামীকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
অন্যদিকে মৃত যুবকের মা বুলি বাউরী ও মাসি শিউলি বাউরী জানান, পল্লব কুমারডিহি গ্রামের পাশের এক বেসরকারি সংস্থায় কাজ করত এবং বুধবার রাতে সে ডিউটিতে গিয়েছিল। কিন্তু সকালে তারা খবর পান, প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ নিয়ে গেছে।তাদের দাবি, এটি আত্মহত্যা নয়, পরিকল্পিত হত্যা। তাদের বক্তব্য, ডেকে নিয়ে গিয়ে পল্লবকে খুন করা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত মহিলার সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল কিনা, সে বিষয়ে তারা নিশ্চিত নন।
যদিও পুলিশি নজরদারি ও চলছে তদন্ত এলাকায় এখনও উত্তেজনা বজায় রয়েছে। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ বাহিনী।
ডিসি অভিষেক গুপ্তা জানান, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পরই যুবকের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ পরিষ্কার হবে।